সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখা : ঋণ বিতরণে অনিয়ম অনুসন্ধান করছে দুদক
জেসমিন মলি
সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের রূপসী বাংলা শাখায় অনিয়মের মাধ্যমে হলমার্ক গ্রুপকে ঋণ পাইয়ে দেয়ার অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।এ প্রসঙ্গে দুদকের কমিশনার মো. বদিউজ্জামান বণিক বার্তাকে জানান, সম্প্রতি সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় অনিয়মের মাধ্যমে দুটি প্রতিষ্ঠানকে বড় অঙ্কের ঋণ পাইয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। দুদক সূত্রে জানা যায়, উপপরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলীকে অনুসন্ধানকারী দলের প্রধান নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখার বরখাস্তকৃত ব্যবস্থাপক উপমহাব্যবস্থাপক একেএম আজিজুর রহমান ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাইফুল হাসানের সঙ্গে এ অনিয়মের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। বড় অঙ্কের ঋণ অনুমোদনের আগে প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন নেয়ার কথা থাকলেও এ ক্ষেত্রে তা করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে এ দুই কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের রূপসী বাংলা শাখায় ১৭টি অনিয়মের মাধ্যমে ১ হাজার ৭৩৫ কোটি ২২ লাখ টাকার ফান্ডেড ঋণ হয়েছে। আরও ৯০২ কোটি ৯৯ লাখ টাকার নন-ফান্ডেড (এলসিজাতীয় বা বৈদেশিক লেনদেন-সংক্রান্ত) দায় রয়েছে। সব মিলিয়ে এ শাখার মাধ্যমে মোট ২ হাজার ৬৩৮ কোটি ২১ লাখ টাকা অতিরিক্ত ঝুঁকির আওতাভুক্ত রয়েছে। ১ হাজার ৭৩৫ কোটি টাকার ফান্ডেড ঋণ হয়েছে, তার মধ্যে প্রকল্প ঋণ মাত্র ৮ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। বাকি সবটাই নন-ফান্ডেড। এ ঋণের প্রায় পুরোটাই দেয়া হয়েছে দুটি গ্রুপকে। হলমার্ক নিয়েছে প্রায় ৯০ শতাংশ অর্থ, যার পরিমাণ ২ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং টি অ্যান্ড ব্রাদার্স নিয়েছে ৪৯১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ২০১০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত রূপসী বাংলা শাখায় বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১৭৪ কোটি টাকা। গত মার্চশেষে ঋণ বিতরণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৬০ কোটি টাকায়। গত বছর এ শাখার ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল মাত্র ১৯১ কোটি টাকা।
দৈনিক বণিক বার্তায় প্রকাশিত
Leave a Reply